আত্রাইয়ে “টেইলারিং ট্রেড প্রশিক্ষক” নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

আত্রাইয়ে “টেইলারিং ট্রেড প্রশিক্ষক” নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ:
নওগাঁর আত্রাইয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খন্দকার মাক্বামাম মাহমুদার বিরুদ্ধে “টেইলারিং ট্রেড প্রশিক্ষক” নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্তর থেকে য়ো দুই জনের তালিকার বাইরে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা গোপনে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে তার দুই জন নিকট আত্মীয়-স্বজনের নাম পরীক্ষার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ শীষর্ক প্রকল্পের অধিনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প মেয়াদকালীন সময়ের জন্য টেইলারিং ট্রেড প্রশিক্ষক নিয়োগের লক্ষে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত যোগ্য প্রাথীদের নিকট থেকে আবেদন আহবান করা হয়। সেই লক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপত্বিতে প্যানেল প্রস্তুত কমিটি সুপারিশ গোপন করে যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দিয়ে অযোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদানে সুপারিশ করে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্র্তা।
গত মার্চ মাসের ২১ তারিখে ট্রেড প্রশিক্ষক প্যানেল প্রস্তুত কমিটি প্রতিটি ট্রেডে একাধিক প্রার্থীর লিখিত ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে উর্ত্তীন প্রার্থী ও তাদের কাগজপত্রাদি যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষক নিয়োগের সুপারিশকৃত রেজুলেশন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার মাধ্যমে যুগ্ন সচিব, মহিলা অধিদপ্তর ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। কিন্ত মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার রেজুলেশন প্রেরণ না করে, তার দুই আত্মীয়ের নামসহ ভুয়া রেজুলেশন কপি সুপারিশ করে পাঠায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্যানেল প্রস্তুত কমিটির সভাপতি মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক গত ২১ ফেব্রুয়ারী লিখিত, ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিউটিফিকেশন ট্রেড প্রশিক্ষক ১জন ও ট্রেইলারিং ট্রেডে ১জনের নাম ট্রেড প্রশিক্ষন প্যানেল প্রস্তুত কমিটির সভায় সর্বসন্মতিক্রমে সুপারিশসহ নিয়োগদান এবং উক্ত তালিকা যা প্রেরণের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। কিন্ত সুপারিশ বিহীন আরো দুই জনের নাম তালিকায় অন্তর্ভূক্ত কিভাবে হলো তা আমার জানা নাই।
আত্রাই মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খন্দকার মাক্বামাম মাহমুদা জানান, আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্তরে ২টি রেজুলেশন হয়েছে, কাগজপত্র যাচাই এর জন্য একটি এবং অন্যটি পরীক্ষার মাধ্যমে প্যানেল প্রস্তুতের। আমি দুটি রেজুলেশনই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরন করেছি মাত্র। এক্ষেত্রে আমার আত্মীয় বা পরিচিত জনের নাম সুপারিশ করা হয়নি বা আর্থিক সুবিধা নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা। তিনি আরো জানান, প্রকল্প পরিচালক, মহিলা অধিদপ্তর, নিয়োগ কর্তৃপক্ষ বরাবরে তিনি আবেনকৃত সকলের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের কাগজপত্র প্রেরন করেছে মাত্র।
আত্রাই উপজেলা থেকে দুই জনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে কিন্তু সেখানে ৪ জনের নামে প্রবেশপত্র কিভাবে আসলো এ প্রশ্ন করা হলে আত্রাই মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খন্দকার মাক্বামাম মাহমুদা বলেন, এখানে অনিয়ম করা হয়নি। রেজুলেশন করা দুই জনের পাশাপাশি পুরাতন রেজুলেশনের নামসহ চার জনের নামই অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছিলো। এক্ষেত্রে যা হয়েছে অধিদপ্তরের সিদ্ধান্তে হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment